আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
সোমবার ২ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব অধিনায়ক বলেন আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে পরিচয় হয় মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীর। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগ দেন। এছাড়াও সে হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য পাঠানো অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসার বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। সে আরসার জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলেও জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লার নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করেন মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী।
র্যাব অধিনায়ক আরো জানান ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণের ফলে অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার রিজওয়ান রুশনী নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং একই সাথে র্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়াকে গুরুতর আহত করা হয় এই ঘটনার সাথেও সরাসরি যুক্ত ছিলো নোমান চৌধুরী।
এছাড়া ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।