সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও ছাগল/ভেড়ার পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ এর লক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে গৃহপালিত ছাগল/ভেড়ার পিপিআর টিকা দান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
প্রাণী সম্পদ বিভাগের মনিটরিং সেল উপজেলা পর্যায়ে পিপিআর টিকা দান কার্যক্রম তদারকি করছে ও এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের শুকর খামারের সহকারী পরিচালক ডা. লেনিন দের নেতৃত্বে জেলা মনিটরিং টিমরে সদস্য রাঙ্গামাটির সরকারী মুরগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারন খামারের ব্যবস্থাপক ডা পলি রানী ঘোষ , উপসহাকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার দে আজ জুরাছড়ি উপজেলায় বিনামূল্যে গৃহপালিত ছাগল/ভেড়ার পিপিআর টিকা দান কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা।বিশেষ অতিথি ছিলেন জুরাছড়ি ভাইস চেয়ারম্যান লিটন চাকমা।
বক্তারা বলেন, সারাদেশ থেকে ছাগল/ভেড়ার পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ এর লক্ষে রাঙ্গামাটির প্রত্যেক উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে গৃহপালিত ছাগল/ভেড়ার পিপিআর টিকা দান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।আগামী ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে এক যোগে পিপিআরের এ টিকা দান কার্যক্রম চলবে।
রাঙ্গামাটির প্রত্যেক উপজেলার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কর্তৃক গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়াকে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যে সকল গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়ার বয়স ৩ মাসের বেশি হয়েছে সে সকল ছাগল ও ভেড়াকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এ জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে পিপিআর ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত সকল ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর নিয়ন্ত্রন মুক্ত রাখতে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের সুযোগ গ্রহন করার জন্য প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে্ ।