হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল পার্বত্য জেলা বান্দরবান শাখার উদ্দ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা/র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে জমকালোভাবে দিবসটি পালিত হয়।
রবিবার সকাল ১১টায় লামা পৌরসভা কার্যালয়। আজ, ৭৫তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ বছর বিশ্বব্যাপী উক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে “মানসিক স্বাস্থ্য, সার্বজনীন মানবাধিকার”। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর, সারা বিশ্বের মানবাধিকার যখন চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছিল, তারই বাস্তবতায় ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্র গৃহীত হয়েছিল। এর দু’বছর পরে ১৯৫০ সাল থেকে, ১০ ই ডিসেম্বরকে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৫০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৩১৭ পুর্ব অধিবেশনে ৪২৩ (৫) অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে সদস্যভুক্ত দেশ সনুহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে দিনটি তাদের মত উদযাপনের আহবান জানানো হয়। ১৯৫০ সালের ১০ ই ডিসেম্বর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বান্দরবান জেলা’র সভাপতি হেলাল উদ্দিন বিএ সভাপতিত্বে এবং তৈয়ব আলী সঞ্চালনায়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল,লামা উপজেলা মহিলা আ.লীগের সম্পাদক শ্যামলী বিশ্বাস, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাকিব হোসেন সাদ্দাম, প্রেসক্লাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, সাংবাদিক বশির আলম, লামা সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মো.ইউসুফ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বড়ুয়া, ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ, মহিল আওয়ামিলীগ সভাপতি শাহেদা ইয়াসমিন শাহেদা,সাধারণ সম্পাদক রুমি আক্তার’সহ সকল মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদ বৃন্দ প্রমূখ।
বিশেষ অতিথি ফাতেমা পারুল বলেন, মানবাধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্য মূলক সমাজ বির্নিমাণে সরকার প্রতিশুতি বদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে যেন এর সুফল পায় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তারা যেন ন্যায় বিচার পায়। সকালের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
প্রধান অতিথি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপনের মাধ্যমে নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের উপর ইসরাঈলের বর্বরোচিত আক্রমন, বোমা হামলা ও মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের প্রয়োগের মাধ্যমে শিশু নারী, হাসপাতাল ও সাধারণ বসতিতে হামলায় মানবতার চরম লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে কক্সবাজার আশ্রিত প্রায় ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবতা দেখিয়ে আশ্রয় দেবার যথাযথ খেসারত দেবার পুর্ব মুহুর্তে তাদেরকে তাদের দেশে ফেরৎ পাঠানোর ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করার আহ্বান
জানান। তাছাড়া দেশে দেশে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি ফিলিস্তিনের উপর অযাচিত আক্রমন বন্ধ করা না হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব মানবতা এগিয়ে না আসলে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল সারাদেশে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
সভাপতির হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল বান্দরবান জেলার হেলাল উদ্দিন বিএ বলেন, আমাদের চতুর্দিকে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। আমাদের পাহাড়, বন উজাড় হচ্ছে, নদীনালা,খালবিল, ভরাট হচ্ছে, সাধারণ শিশু,নারী-পুরুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সবলের হাতে দুর্বলরা সবসময় অত্যাচার,নির্যাতন, নিপীড়িনের শিকার হচ্ছে। এগুলো সব মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে। মানবাধিকার রক্ষার অন্যতম প্লাটফর্ম হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার শাখার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ এবং সকলে সার্বিক সহযোগিতায় কামনা করেন।