বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নের সীমান্ত বর্তি বেশ কয়েকটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নতুন লোকজনের সমাগম বেড়েছে।
নাম অপ্রকাশে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন মায়েনমারের নাগরিক জানান,
মায়েনমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিদ্রোহের সাথে চলা যুদ্ধে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা সরকার, এমন পরিস্থিতি’তে
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় তরুণ তরুণীদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামুলক ঘোষণা করে।
পাশাপাশি স্থানীয় সরাকারের মাধ্যমে প্রতিটি শহরে,ওয়ার্ডে, মহল্লায়, তরুণ তরুণীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য লিস্ট তৈরি করে।
তারা আরো জানায় ইতিমধ্যে দেশটির জান্তা বাহিনীর সাথে অনেক তরুণ তরুণী যোগদান করেছে এবং অনেকেরী মৃত্যু হয়েছে, যার কারণে মৃত্যুর ভয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
তবে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা জানান, নতুন করে যারা মায়েনমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত বর্তি গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে,
তারা কি-কারণে আশ্রয় নিয়েছে কিছুই জানেন-না তারা, তবে তাদের ধারণা এদের মধ্যে জান্তা বাহিনীর হয়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার লোকজনও থাকতে পারে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী এবং সমাজের উচ্চবর্গের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, যারা মায়েনমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত বর্তি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে তারা পাহাড়ি চাকমা-তংচংগ্যা সম্প্রদায়ের, এবং বাংলাদেশে যাদের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে তারা-ও চাকমা-ও-তংচংগ্যা সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে আশ্রয় নেয়া নাগরিকদের খুজে বের করা অনেকটাই চেলেঞ্জিং হয়ে পড়বে প্রশাসনের, তবে তাদেরকে যদি ঐসব এলাকা থেকে বের করে নিদিষ্ট স্থানে নিতে পারলে অনেকটাই ঝুঁকি মুক্ত হবে বাংলাদেশের।
তবে ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু ফাত্রাঝিরি (রেজু পাড়া) এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়,
একটি দোকানে রেজু পাড়া বিওবির পক্ষ থেকে স্থানীদের সাথে মতবিনিময় সভা করতে,
সেখানে বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীদের উদ্দেশ্য করে বলতে দেখাযায়, কারো বাড়িতে যদি মায়েনমার থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ কোন নাগরিক থেকে থাকে তাদেরকে আশ্রয় না দেওয়া হয়,
যদি কেউ আশ্রয় দিয়ে থাকে আমাদের কাছে কোনো সংবাদ আসলে আমরা অবৈধ নাগরিকসহ ওই বাড়ির প্রদান কর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।