বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাইশারীতে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা বিএসএফের বোয়ালমারী থানায় গরু চুরির অভিযোগ করায় বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম ঈদগাঁওতে বস্ত্র মেলার নামে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবি লামা উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা। পাঁচবিবিতে আশা এনজিওতে ঋণ পেতে শাখা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষের দাবী বেতবুনিয়া তালুকদার পাড়ায় হযরত খাজা মঈনউদ্দিন হাসান চিশতী আজমিরি (রঃ)পবিত্র ১৪তম বার্ষিক ওরশ মোবারক পালিত। ঈদগাঁওর পরিবহন শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক মহানায়ক। ফরিদপুরে ট্রাকের সংঘর্ষে ইজিবাইকের যাত্রী নিহত

রাজশাহীতে অনুদানের নামে ইট ভাটায় চাঁদাবাজি

মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ Time View

রাজশাহীর পবায় অনুদানের নামে চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পবা উপজেলা প্রশাসন ইউএনও’র পক্ষে এ চাঁদা উত্তোলন করা হয়। ৫০ টি ইট ভাটায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে।
ইট-ভাটা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে পবা উপজেলায় কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর নামে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীর নিকট ৭০/৮০ হাজার টাকাসহ সকল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সমিতির তালিকা করে গণহারে এই চাঁদা তোলা হয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, পবা উপজেলা ইউএনও অফিসে গিয়ে আর্থিক অনুদানের নামে একটি রশিদের মাধ্যমে এই চাঁদাগুলো নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের এক ভাটার মালিক অসহায়ত্ত্ব প্রকাশ করে বলেন, অর্থিক অনুদানের নামে ঘুষ বাণিজ্য নতুন কিছু না। ইট ভাটা চালাতে প্রতি বছর গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা সব কিছুই ম্যানেজ করে আসতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরে এল আর ফান্ড নামের ভাউচারের মাধ্যমে দিতে হতো মোটা অংকের টাকা কিন্তু এই বছরে অর্থিক অনুদানের নামে দিতে হয়েছে। এই ঘুষ বাণিজ্যের বাইরে পরিবেশ অধিদপ্তরও বাদ নেই। ঘুষ না দিলেই চলবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করছিনা আবার অস্বীকারও করছি না। কত টাকা তোলা হয় বা ব্যয় করা হয় তা সব জানেন ইউএনও স্যার ও অফিস। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
পবা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কায়সার আলম জানান,প্রতি বছরের মত এইবারো ইউএনও স্যারের নির্দেশে ভাটা থেকে এই টাকা তোলার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন,আমার স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাই আমি পালন করছি কেন নেওয়া হচ্ছে কোথায় ব্যয় হচ্ছে এসব ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।
চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, চাঁদার স্লিপ টা নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন সাক্ষাতে কথা বলবো।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাই তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin