শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মোমেনা কুসুম্বা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান না ফেরার দেশ পাড়ি দিলেন কাউখালী উপজেলা শ্রমিক দলের বিপ্লবি সভাপতি চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী টিটু রাম দে গ্রেফতার। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান স্টুডেন্ট ফর সভারন্টির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সেক্টর সদর দপ্তর, বান্দরবান কর্তৃক স্থানীয় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ বাঙ্গালহালিয়া আবাসিক হিন্দুপাড়া মা মগদ্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরে মহোৎসব সম্পন্ন। বোয়ালমারীতে ট্রেনে কেটে নসিমন চালকের মৃত্যু শ্রীবরদী মডেল প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন 

বান্দরবানের লামায় ত্রিপুরাদের বসতঘরে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ Time View

বান্দরবানের লামা উপজেলার টংগঝিরি পাড়ায় বড়দিন উপলক্ষে গীর্জায় প্রার্থনা করতে গেলে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৭টি বসতঘর। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে।

অগ্নিকান্ডের পর বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গঙ্গাং মনি ত্রিপুরা নামে একজন ব্যক্তি লামা থানায় ৭জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পরে রাতেই পুলিশ লামার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার ৪জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মইশৈ ম্যা ত্রিপুরা (৪৮), টংগঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা জোয়াতিং ত্রিপুরা (৫২) এবং টংগঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা মো.ইব্রাহিম (৬৫)। তাদের আদালতে প্রেরণের কাজ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবানের লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো.এনামুল হক জানান, ঘটনার পর লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার গঙ্গাং মনি ত্রিপুরা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, লামার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরো জানান, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কয়েক পরিবার নতুন ভাবে বসতী করে ওই এলাকায় বসবাস শুরু করায় তাদের মধ্যে দ্বন্ধে এই ঘটনা হয়েছে বলে ধারনা করছি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গত তিন মাস পূর্বে লামা উপজেলা ও পাশের আলীকদম উপজেলা থেকে ১৯টি ত্রিপুরা পরিবার উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় বসতি শুরু করেন। বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এসব পরিবারের লোকজন পাশের টংগঝিরি পাড়ার গীর্জায় প্রার্থনা করতে যায়, এই ফাঁকে দুর্বৃত্তরা পাড়ার কাঁচাঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়, এতে ১৭টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

পাড়ার বাসিন্দা গুংগা মনি ত্রিপুরা জানান, গত ১৯ নভেম্বর স্টিফেন ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন, অর্থ না দিলে পাড়াবাসীকে হুমকিও দেন। এ প্রেক্ষিতে আমরা হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে লামা থানায় মামলা করি।

পার্বত্য উপদেষ্টার নিন্দা :
বান্দরবানের লামায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী গুন্ডাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বান্দরবান গোয়েন্দা সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে, পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সন্দেহভাজন গুন্ডা জায়গা দখলের নামে এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে। বান্দরবান জেলা কর্তৃপক্ষ ইতঃমধ্যে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পুনর্র্নিমাণের জন্য সব ধরনের সহায়তা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকেও এ সংক্রান্ত আরও সহায়তা প্রদান করা হবে বলে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin