বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ফাহিমা বেগম সততা,ন্যায়,নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন।তিনি বগুড়া জেলার একমাত্র মহিলা প্যানেল চেয়ারম্যান।অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি।
পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।তিনি এলাকায় একজন প্রতিবাদী নারী হিসেবে পরিচিত।
জানায়ায়,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি আহসান হাবিব সবুজ চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারনে ফাহিমা বেগমকে পরিষদে ঢুকতে দিত না। এমনকি তার স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটেছিল।
ফাহিমা বেগম দল-মত নির্বিশেষে এলাকার প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। সকল দুঃখ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। 

ইতোমধ্যে তিনি একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।

তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থা,রাস্তার উন্নয়ন, সংস্কার করে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। 

চাকুলমা সাতআনা গ্রামের সাবলু মিয়া বলেন, বিগত সময়ে মোকামতলা ইউনিয়নে যত চেয়ারম্যান ছিলো তাদের মধ্যে ফাহিমা বেগম অত্যন্ত সৎ এবং নিষ্ঠাবান।তাকে আমরা সব সময় বিপদে-আপদে পাশে পাই।
এলাকার মানুষের কাছে ফাহিমা বেগম সৎ ও ন্যায় পরায়ণ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। মূলত এ কারণেই তিনি বার বার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে দাবি ভোটারদের।

ফাহিমা বেগম বলেন,ইউনিয়নের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি ২ সেপ্টেম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সততা, ন্যায়, নিষ্ঠার সাথে স্থানীয় সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। জনগনকে তাদের প্রত্যাশিত ও বিধিসম্মত সেবা, উন্নয়ন ও সুবিধা দিয়ে মোকামতলা ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা কোন অপপ্রচারে কান দেবেন না, আপনারা আগে সেটা যাচাই করবেন।