রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের আমদাবাদ গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একই পরিবারের মা-মেয়েসহ ৭ জন গুরুতর জখম এবং অপর পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছে।
আহত ৭ জনকে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দু’জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে গত মঙ্গলবার রাতে ইলাইপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ মাদ্রাসা ও হেফজখানার উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে স্থানীয় মহসিনের ভাইপো তামিম নারীদের প্যান্ডেলের সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করছিল। এর প্রতিবাদ করে হারুন হাওলাদারের পুত্র আব্দুল্লাহ হাওলাদার এবং মোহর আলীর পুত্র আবু সাঈদ শেখ। এ ঘটনার সূত্র ধরে রাত ৯টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলেও পরে উভয়পক্ষ শান্ত হয়।
এরই জের ধরে গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে মহসিন শেখের ভাই মোতাহারের স্ত্রী হারুন হাওলাদারের বাড়ির পাশে গিয়ে উস্কানিমূলক উক্তি করলে তারা এর প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে মহসিন শেখের নেতৃত্বে হারুন হাওলাদারের পরিবারের সদস্যদের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। পুত্র আব্দুল্লাহ হাওলাদার জানান প্রথমে তারা তার পিতা হারুন হাওলাদার (৫৫) কে বেধড়ক মারপিট করে। তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের বাড়ির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে। আহত অন্যরা হলেন হারুন হাওলাদারের ভাই কালাম হাওলাদার (৩৫) ও সেলিম হাওলাদার (৪২), গাউস হাওলাদারের পুত্র বাপ্পি হাওলাদার (২৬), ভাই আব্দুল হালিমের স্ত্রী পারভিন (৩৪) জামাই মোস্তফা কামাল (৪৫) ও তার স্ত্রী টুম্পা (২২)। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে বাপ্পি হাওলাদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রে জানা গেছে। তার মাথার ক্ষতস্থানে ৭টি সেলাই লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মহসিন জানিয়েছে প্রতিপক্ষের হামলায় তার ভাই মোতাহার ও তাদের পরিবারের নারীসহ ৪ জন আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বিষয়ে তারাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।