জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপনে বীজতলা থেকে বীজ উত্তলোণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘন কুয়াশা ও শীতে কৃষকের বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বীজতলার কচি চারাগুলো ঠান্ডা ও কুয়াশায় হলুদ রং আকার ধারন করেছে। উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোলান রশিদপুর মাঠে ইরি-বোরো চাষাবাদে দলবেঁধে একদল শ্রমিককে বীজতলা থেকে চারাবীজ উত্তলোণ করতে দেখা যায়। উপজেলার সোনাকুল কোনাবাড়ী (হিন্দুপাড়া) গ্রামের ২৮’জন শ্রমিকের সর্দার শ্রী সুবোধ চন্দ্র বলেন, প্রতিবছরই আমরা ধানকাটা ও রোপন করা, সরিষা, আলু, গম, ভুট্টা সহ মাঠের সকল প্রকারের ফসল এইভাবে দলবেঁধে কাজ করে থাকি। একই গ্রামের শ্রী স্বপন চন্দ্রের ২’বিঘা জমি রোপন করার জন্য চারা তুলছি বলেন, সর্দার সুবোধ। ২২’শ টাকায় ৫০ শতকের একবিঘা জমির চারা তোলা ও লাগানোর চুক্তিতে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করছি বলেন তিনি। উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম আকুল বলেন, প্রতিবছর আমি দেড়বিঘা জমিতে ইরি ধান লাগাই এবছরও লাগাব। তিনি আরো বলেন, ঐ জমিতে আলু ও সরিষা আছে কয়েকদিন পরেই সেগুলো তুলে ইরি ধান লাগাব সেইজন্য বীজতলায় চারাও প্রস্তত করেছি। তবে ঘন-কুয়াশা ও ঠান্ডায় চারাগুলো হলুদ আকার ধারন করেছে এবং কিছু চারার ক্ষতিও হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর প্রায় ২০’হাজার হেঃ জমিতে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা প্রস্তত করেছে কৃষকরা। অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কুয়াশায় কোল্ড ইনজুরিতে যাতে বীজতলার ক্ষতি না হয় সেইলক্ষে আমরা কৃষি অফিস কৃষকের পরামর্শ দিচ্ছি বলেও জানান তিনি।