কক্সবাজার অভিবাসন প্রবণ এলাকা। আর একারণে এ এলাকা পাচারের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক এক ওরিয়েন্টেশনের আয়োজকরা ১১ ফেব্রুয়ারি একথা বলেছেন। ঈদগাঁওতে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক এ ওরিয়েন্টেশন। স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এর আয়োজন করেছে উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশীর “শক্তিশালী এবং তথ্যবহুল অভিবাসন প্রক্রিয়া (সিমস)” (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বরূপা পাল। এতে অভিবাসন, দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা, শ্রম অভিবাসন, অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও নিরাপদ অভিবাসনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিরাপদ অভিবাসনের ধাপ, কারণ ও অভিবাসন সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ভাবে বিরোধ মীমাংসা নিয়েও আলোচনা হয়।
এতে ২০১৩ সালের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন, অভিবাসীদের আর্থিক ও আইনি সহায়তা, বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ, প্রবাসীদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। দাতা সংস্থা সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে এবং হেলভেটাস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহায়তায় আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, ওয়েল ফায়ার সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বুয়েসেল, বায়রা, বিএমইটি, ডেমো, প্রবাস বন্ধু কল সেন্টার, মাইগ্রেশন কর্নার, মাইগ্রেশন ফোরাম প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
ওরিয়েন্টেশনে ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, জিএমসি, মাইগ্রেশন ফোরাম, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্য দেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ কামাল হোছাইন। এতে আয়োজক সংস্থার উপজেলা সমন্বয়ক মোঃ আলী আজগর ও ইউনিয়ন সোশ্যাল মোবিলাইজার আঁখি পাল উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, অভিবাসন বিষয়ক প্রাচীন সেবা সংস্থা RAMMRU প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট রয়েছে।
আয়োজকরা আরো জানায়, পাঁচটি জেলার চারটি উপজেলায় ২৮ টি ইউনিয়ন এবং ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রত্যাশীর অভিবাসন বিষয়ক এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ১৬ জেলায় ১৩৯টি শাখার মাধ্যমে ১৯টি প্রকল্পে হেলথ, স্যানিটেশন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, লাইভলীহুড প্রজেক্ট সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ওরিয়েন্টেশনে মেম্বার নুর নাহার, মেম্বার কহিনুর আক্তার, মেম্বার আমির হোসেন, আলমগীর চৌধুরী, সাংবাদিক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন পিন্টু, রাশেদুল আমির চৌধুরী, মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাজেদা জাহান তুরিন, নুরুচ ছফা, মোস্তফা প্রমুখ অংশ নেন।