বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আদর্শিক নেতৃত্বের আলোকবর্তিকা মোহাম্মদ মুনতাসীর আহমেদ জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে ইউপিডিএফের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব দেশদ্রোহীতার শামিল- পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ,বান্দরবান পার্বত্য জেলা। ব্রহ্মপুত্র ন‌দে একসাথে ভেসে উঠলো নি‌খোঁজ দুই শিশুর মরদেহ পাঁচবিবি থানার এসআই কে কাঁচি দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় ২জন গ্রেপ্তার বড় খামারীদের পাশাপাশি কোরবানির পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তরা সাংবাদিক মোশারফ মফিজ উদ্দিন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মনোনীত মনোহরদী (উত্তর) জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত! জিএসটি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৩ মে সন্ধ্যায়, খুব শিগগিরই চূড়ান্ত ভর্তি আবেদন শুরু মনোহরদী মডেল হিফজুল কোরআন মাদরাসায় নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত! রাজশাহীর ২ সাবেক চেয়ারম্যানের দেশ ত্যাগে নিষেধ

মাঠ পর্যায়ে নিরলস কাজ করছেন লামায় ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন

মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১৮ Time View

মাঠ পর্যায়ে নিরলস কাজ করছেন পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন তিনি কখনও স্কুল পরিদর্শন যায়। আবার কখনও মানবিক ইউএনও। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে তিনি ছুটে চলেন এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে। আবার কখনও বিভিন্ন হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন কথা। চলতি বছরের ০৩ ফেব্রুয়ারি লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন মো. মঈন উদ্দিন। যোগদানের পর থেকে লামা পৌরসভা বিভিন্ন রাস্তা ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করে। এ’পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট ৬০/৭০ লক্ষ টাকা নিলাম ও জরিমানা আদায় করেন এবং যোগদানের পর থেকেই তিনি একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রোদ-বৃষ্টি মধ্যে ও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অন্তবর্তী সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সে-সাথে লামা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। ইউএনওর প্রশাসনিক এলাকায় জনস্বার্থ বিরোধী কোনো ঘটনা ওনার নজরে এলে কালবিলম্ব না করে তাৎক্ষণিক সরেজমিনে গিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে তা দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করছেন। ইউএনও সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিভিন্ন অভিযোগে সমাধান জন্য কাজ করছেন। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে তিনি যেখানে সমস্যা সেখানে সমাধান করেন। নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাউকে কিছু না বলেই হঠাৎ স্কুল পরিদর্শনে চলে যান তিনি। এরপর স্কুল প্রধানের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন শ্রেণিকক্ষে। এতে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন সচেতনভাবে ক্লাস পরিচালনা করে। কারণ যেকোনো সময় ইউএনও চলে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণ বান্দরবান জেলা পরিষদ কর্তৃক ভবনটি হচ্ছে খেলার মাঠে এলাকায় সচেতন ব্যাক্তিরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন তিনি অভিযোগ টি আমলে নিয়ে পরিদর্শন করেন অভিযোগ-কারী ও স্থানীয় সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যান, এলাকায় সচেতন ব্যাক্তিদের নিয়ে। এবং বিদ্যালয়ে ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন শিক্ষা নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক কথাবার্তা বলে ইউএনও। এ-সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে একজন পেশারদার শিক্ষকের মতোই মজার সব গল্পের মাধ্যমে পাঠদান করে। আর শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিয়ে ইউএনওর কথা শুনেন।ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান ইউএনও একজন মানবিক মানুষ। তিনি অনেক গুণের অধিকারী, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনেই তিনি বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন উৎসাহ পাচ্ছে, অভিভাবকরাও খুশি। আর আমরা যারা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছি আমাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং শিক্ষাকার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধিতে।ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আসলে একদিকে সরকারি দায়িত্ব পালন, অন্যদিকে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে আমি স্কুল পরিদর্শন করি। আর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উৎসাহ দিতেই ক্লাসে শিক্ষা নিয়ে কথা বলি। আমি যদি উপজেলার স্কুলগুলোর পড়ালেখার মান ও স্কুলগুলো সুন্দর রাখতে না পারি সে ক্ষেত্রে আমার এই এলাকার মানুষ উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হবে। একটি উপজেলার উন্নতি আসতে পারে কেবল একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বাহিরে কোনো উন্নয়নের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একজন বাবা। আর এ’উপজেলার সকল শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মতো। কাজেই আমার সন্তানেরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে কি না এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই দায়িত্ব শতভাগ পালন করছে কিনা তা মনিটরিং করা আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। ইউএনও বলেন, মানবিক কাজ করে আমি আত্মতৃপ্তি পাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মী হিসেবে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। উপজেলা সকল কাজে পরিদর্শন করি এই পর্যন্ত ৬০/৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করি। আর বিদ্যালয় মাঠে ভবন নির্মাণ বিষয় বান্দরবান জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ সঙ্গে কথা বলে সমাধান আশ্বাস দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin