রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বাগমারায় ৫ প্রতারক গ্রেপ্তার

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
  • ৫৩ Time View

রাজশাহীর বাগমারার এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ইলেকট্রনিক প্রতারক চক্র। তিনদিনে ব্যাংক হিসাব থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর প্রতারিত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাগমারা থানার এসআই শিহাব উদ্দিন।
মামলার পর থেকে অনলাইন প্রতারকদের সনাক্ত করতে অনুসন্ধান শুরু করেন এসআই শিহাব উদ্দিন। তদন্ত কর্মকর্তার বিচক্ষণতায় দীর্ঘ অনুসন্ধানের পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তদন্ত কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বেলের ভিটা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মামুন হোসাইন (২২), সাতক্ষীরা জেলার

শ্যামনগর উপজেলার গোদাড়া গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে রহমত হোসাইন (৩৮), খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার নলিয়ান গ্রামের শাহাজান ঢালীর ছেলে নাসিম ঢালী, একই জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট রনজিতের হোলা গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে নাজমুস সাকিব এবং ঢাকার তুরাগ থানার আহলিয়া মহল্লার আব্দুল আহাদের ছেলে আরিফুর রহমান।

গত ১০ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রতারণার মাধ্যমে ১৬ লক্ষ টাকা অনেক অর্থ হাতিয়ে নেয় অনলাইন প্রতারক চক্র।

প্রতারিত ওই নারীর নাম ফারিয়া ইয়াসমিন (৩১)। তিনি উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার দক্ষিণ কোয়ালীপাড়া গ্রামের কামাল পাশার স্ত্রী। ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং তাহেরপুরের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল তাঁর এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের টেলিগ্রাম অ্যাপসে একটি বার্তা দেখতে পান। সেখানে মানজিয়া আক্তার নামের এক নারী তাঁকে বার্তাটি পাঠান। তিনি ওই নারীর বার্তার সাড়া দিলে ব্যাংক কর্মকর্তাকে “ইডেন রিয়্যালিটি কোম্পানিতে” অন-লাইনে চাকরির প্রলোভন দেখান। ভালো উপার্জনেরও প্রলোভন দেখানো হয় ব্যাংক কর্মকর্তাকে। যে পরিমাণ টাকা জমা রাখবেন তাঁর বিপরীতে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা লাভ পাবেন বলে জানানো হয়। প্রতারকেরা তাঁদের পরিচালনা করা একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে ব্যাংক কর্মকর্তাকে যুক্ত করে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি ওইদিন ৮০০০ টাকা কোম্পানির হিসাবে ডিপোজিট করে। এরপর টাকা দিতেই থাকে সর্বশেষ ১৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪ টাকার ডিপোজিট করে। বিপুল পরিমাণ টাকা নেয়ার পরেই অ্যাপস বন্ধ করে দেন।

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকে প্রতারক চক্রকে সনাক্ত ও টাকা উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ৫ দিনের রিমান্ড যাওয়া হয়েছে মহামান্য আদালতের কাছে। সেই সাথে এই চক্রের সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin