কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারী স্থানীয় আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৬ মে ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চান্দিনার ভাড়াটিয়া বাসায় ঘটে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে অভিযুক্ত হলেন স্বামী মোঃ ফয়সাল ।
বিয়ের সময় কানে গলার ব্যবহারের জন্য বাদীনির পিতা স্বর্ণের অলংকার প্রদান করে যার আনুমানিক দাম (১ লক্ষ টাকা )
গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করা হয়। পরে আরও তিন লক্ষ টাকা দিয়ে বাদীকে সৌদি আরব পাঠায় বাদীনির পিতা। বাদীকে বিদেশে পাঠানোর পরও শাশুড়ির নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেমে থাকেনি। বিদেশ থেকে ফেরত এসে আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে পারবে না বললে ধারাবাহিক নির্যাতনের ফলে তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন এবং বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদীনিকে হুমকি দেয়।
গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তাকে মাছ কাটায় দেরি হওয়াতে বটি দিয়ে আঘাত করে এবং মারার চেষ্টা হয়েছিল। এমনকি, এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে ভাড়ায় বাসা নিতে হয়।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি বলেন,গ্রেপ্তার ওয়ারেন্ট পরোয়ানা জারি হয়েছে আমরা খুব শীঘ্রই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব ।”
নারী নির্যাতনবিরোধী সংগঠনগুলো এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।