নাইক্ষ্যংছড়িতে জব্দকৃত ১৮ টি বার্মিজ গরু ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গোলাগুলিতে বিজিবি সহ আহত হয়েছেন-৪ জন। এতে ৩ জন বিজিবি সদস্য ১ জন চোরাকারবারীদের মাঝি।
সোমবার (২ জুন) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবিকে সরকারী কাজে বাধা,হত্যা চেষ্টা ও আহত করার কথা উল্লেখ করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করে বিজিবি।
আর ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ছালামীপাড়ার বামুর ঘোনার রাস্তার মাথা এলাকায়।
১১ বিজিবি ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান,গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাত ৭ টা থেকে ঘটনাস্থলের আশপাশে উৎপেতে থাকে বিজিবি জোয়ানরা। এ সময় একদল চোরাকারবারি ১৮ টি বার্মিজ রাজস্বফাঁকির গরু একত্রিত করে
বড়তারাখলা নামক স্খান থেকে লাইটের পথের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় বিজিবি জোয়ানরা তাদের চতুর্পাশ দিয়ে হানা দিয়ে ১৮ টি গরু জব্দ করে নিয়ে আসার সময় চোরাকারবারের মাঝি আক্তার কামালের নেতৃত্বে ১০/১২ জন চোরাকারবারীদের সহযোগী হামলা শুরু করে৷
বিজিবির দাবী,এ সময় আক্তার কামাল
ও তার সহযোগীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিরবর্ষণসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা শুরু করে। এমন কি বিজিবি জোয়ানদের কাছে থাকা ১ টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চেষ্ঠা করলে
বিজিবি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে বিজিবি ৩ সদস্য আহত হন।
তারা হলেন,১। ল্যান্স নায়েক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ২। ল্যান্স নায়েক মোঃ নজরুল ইসলাম ও ৩। সিপাহী মোঃ সোহাগ। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর
তারা ৩ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) কর্মরত। ঘটনার সময় ১৮ টি জব্দ করা গরু থেকে বিজিবি কাছ থেকে ১৩ গরু ছিনিয়ে নেন চোরাকারবারী দল। বাকী ৫টি বার্মিজ বলদ গরু জব্দ করেন বিজিবি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কমান্ডার এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস। তিনি বলেন,তারা রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছেন। আর চোরাকারবারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে । অস্ত্র কেড়ে নিতে চেষ্টা করল। বিজিবি সদস্যকে আঘাত করল। এভাবে বেপরওয়া আচরণ আইনের চরম লঙ্গন।
অপর দিকে অভিযুক্ত কয়েকজন চোরাকারবারীদের দাবী,তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। আহত আক্তার কামাল ও তার সহযোগীরা এতে জড়িত।
এ প্রতিবেদক আহত আক্তার কামালের সাথে তার বক্তব্য নিতে চেষ্টা করলেও সে আত্মগোপনে থেকে অন্যত্র চিকিৎসা নেয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় সূত্র গুলো জানান,
ঘটনার সময় ২/৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। কে বা কারা এ গুলি ছুড়েছে তা তারা বলতে পারেন না।
এ দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাশরুরুল হক জানান,এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ আসামী
আটকের অভিযান শুরু করেছেন।