পবিত্র তীর্থভূমি সীতাকুণ্ডের শীতলপুরস্থ পরমপুরুষ, ত্রিকালজ্ঞ, শিবকল্প, মহাযোগী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার নবনির্মিত শ্রীমন্দিরে গত ৩ জুন ২০২৫ খ্রিঃ, মঙ্গলবার সারাদিনব্যাপী নবনির্মিত শ্রীমন্দির প্রাঙ্গণে ১৩৫তম তিরোধান স্মরণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মঙ্গল প্রদীপ ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে বাবার তিরোধান উৎসবের শুভ সূচনা করেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। বাবার ভক্তদের উপস্থিতিতে উলু ধ্বনি ও শঙ্খ ধ্বনির কাসা ঘন্টা বাদ্য বাজানোর মধ্য দিয়ে বাবা লোকনাথ এর পুজার প্রথম পর্বে পূজার পরিসমাপ্তি ঘটে। ভক্তরা যার যার মনের বাসনা পূর্ণ করার জন্য পুষ্পাঞ্জলি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাবাকে স্মরণ করেন। বাবা যেন এই অশুভ শক্তি থেকে সবাইকে রক্ষা করে সকলের মনের শুভ শক্তির বিকাশ ঘটাই। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলী, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সকল সদস্যবৃন্দ। মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে লোকনাথ বাবার ১৩৫ তম তিরোধান উৎসব অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয় আহবায়ক শ্রী লিটন দাস এবং সদস্য সচিব শ্রী মিঠুন সাহা। দ্বিতীয় পর্বে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম ও গীতার শিক্ষার কেন্দ্রে পরিচালনা পরিষদের গত ৩ বছরে কমিটিকে মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। মন্দির কমিটির উপদেষ্টা ও সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে আগামী (২০২৫-২০২৭) ৩ বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। মন্দির পরিচালনা পরিষদের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। উপদেষ্টা ও সকল সদস্যের সম্মতি ক্রমে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন শ্রীযুক্ত বাবু রবিন সাহা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন বিশ্বজিৎ পাল মহোদয়, সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মিঠু শীল মহোদয় অর্থ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন রিপন দাস মহোদয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন লিটন দাস মহোদয়। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন মন্দিরের সার্বিক কার্যক্রম ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী তিন বছরের জন্য এই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো তাদের নেতৃত্বে আগামী দুই মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ আরো বলেন নতুন এই নেতৃত্বে মধ্য দিয়ে আগামীতে মন্দিরের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য বাবার নিত্য পূজা ও বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান গুলো পরিচালনা করার জন্য নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব দেয়া হলো। আমার বিশ্বাস এই নতুন কমিটি আগামীতে মন্দিরের বিভিন্ন কার্যক্রমে এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে রবিন সাহা বলেন সকলের সম্মতি ক্রমে আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমি আমার দিক থেকে সবাইকে একসাথে নিয়ে সর্বত্র কাজ করে যাব। সবাই আমাকে আশীর্বাদ করবেন আমি যেন আমার দায়িত্ব অক্ষর অক্ষরে করে পালন করতে পারি। দুপুরে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পরিসমাপ্তি ঘটে।