সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

রাজশাহী মহানগরীতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঘরে চুরির অভিযোগে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ।

মোঃ শিবলী সাদিক রাজশাহীর ব্যুরো।
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২২০ Time View

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার দৌলতপুর এলাকার মৃত শুকুর আলীর মেয়ে মোসা: আলোকা বেগম (৪৩) ও তাঁর মেয়ে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার বর্ধনপুর এলাকার মো: মিজানুর রহমানেরর স্ত্রী মোছা: মিম খাতুন (২২) এবং মিমের স্বামী মো: মিজানুর রহমান (২৫)।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর মতিহার খানার চৌদ্দপাই এলাকার মোসা: সাথী খাতুন (২৯) একজন গৃহীনি এবং তাঁর স্বামী মো: মাসুদ রানা নান্টু (৩৪) বিদেশে থাকেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ০১:০০টায় আসামি আলোকা ও মিম বাড়ী ভাড়া নেওয়ার জন্য সাথী খাতুনের বাড়িতে যায় এবং অপর আসামি মিজানুর বাড়ির বাহিরে অপেক্ষা করছিলো। আলোকা জানায়, মিম তাঁর মেয়ে এবং বাহিরে অবস্থান করা মিজানুর তাঁর মেয়ের জামাই। মিজানুর পুলিশে চাকরি করে বলে মিথ্যা পরিচয় দেয়। বাড়িটি তাদের পছন্দ হয়েছে বলে সাথীকে জানায় এবং ঘরটি দ্রুত পরিস্কার করতে বলে। ঘর পরিস্কার করা হলে আসামিরা সাথীকে গোসল করতে যেতে বলে। সাথী গোসল করতে গেলে সেই সুযোগে আসামিরা তাঁর ঘর ঢুকে শোকেসের ভিতরে থাকা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। সাথী খাতুনের উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের দুই দিনব্যাপী হীরক জয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
মামলা রুজুর পরবর্তীতে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: একরামুল হক, পিপিএম-এর নেতৃত্বে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রহুল আমিন, এসআই মো: পলাশ আলী ও তাঁর টিম চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তীতে মতিহার থানা পুলিশের ঐ টিম আজ ৬ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ (৫ অক্টোবর দিবাগত) রাত ০২:৩০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হোজা অনন্তপুর এলাকা হতে আসামি মিম ও তাঁর স্বামী মিজানুরকে গ্রেফতার করে। মিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি তাঁর মা আলোকাকে চারঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় বালুদিয়া এলাকায় তাঁর বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল রাজশাহী মহানগরীর ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণ করে জনস্বার্থে ব্যবহার করার।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে তাঁরা পেশাদার চোর ও চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা রাজশাহী মহানগরী ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রতারনা করে চুরি করে থাকে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পূর্বেরও চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin