সিরিয়ার ইরানি দূতাবাসে হামলায় শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান। বিষয়টি নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সেই সঙ্গে দেশটিতে ড্রোন ও রকেট হামলা চালানো হয়েছে ইয়েমেন ও লেবানন থেকেও।কাপ্তাই হৃদে পানিতে পানিতে বৃর্র মৃত্যু
বার্তা সংস্থা এএফপির পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার রাতে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে—ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইয়েমেনের হুতিরা ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি ড্রোন পাঠিয়েছে।
অ্যামব্রে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সশস্ত্র ড্রোনের সাহায্যে ইসরায়েলের দিকে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ড্রোনগুলো ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠানো হয়েছিল।’ অ্যামব্রে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাঁরা মূল্যায়ন করেছে হুতিরা ‘ইসরায়েলি বন্দরগুলোকে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছে।’
এদিকে, একই সময়ে লেবাননভিত্তিক ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নেওয়া ইসরায়েলি ভূখণ্ড গোলান মালভূমি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট নিক্ষেপ করেছে। ইরান ইসরায়েলের দিকে হামলা শুরুর ঘণ্টা খানিক পর হিজবুল্লাহ এই হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গাজায় চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে আন্তসীমান্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা গোলান মালভূমিতে তিনটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল–কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হয়। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।