ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইলের চলমান লড়াইয়ের জেরে জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে তারা ঐক্যমত্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যকে হামাসের কঠোর নিন্দা করার জন্য আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কূটনীতিকরা বলেছেন যে- রাশিয়ার নেতৃত্বে সদস্যরা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিন্দা করার চেয়ে বৃহত্তর ফোকাস আশা করছে।
নিরাপত্তা পরিষদ প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য বৈঠক করে। জাতিসঙ্ঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড কাউন্সিলকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ব্রিফ করেন।
নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকটি প্রথমে ইউএনএসসির বর্তমান সদস্য মাল্টা দ্বারা ডাকা হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ব্রাজিল পরে তাদের সমর্থন যোগ করে। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ১৫ সদস্য স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৩টায় নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে বৈঠকে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।সূত্র : আল-জাজিরা