শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে, অবশেষে প্রতারণার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার :
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৩১ Time View

সদরের খুরুশকুল,উত্তর নুনিয়ারছড়া,পশ্চিম লারপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের অধীনে হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পাকা ঘর দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ নাজির পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আশরাফ মিয়ার পুত্র কথিত সাংবাদিক নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে।

সে নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো এসপি, ডিসি কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সোর্স পরিচয় দিয়া বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ লোকজনকে ত্রাণ, মুজিব বর্ষের ঘর বরাদ্দ নিয়া দিবে মর্মে বিশ্বাস জন্মাইয়া টাকা হাতিয়ে নিয়া প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছিল।

জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদেরকে পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে বলে,

এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কথিত সাংবাদিক নুরুল আবছার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ইচ্ছেমতো যেভাবে পারে সবার কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে বিনাখরচে এই পাকা ঘর দেওয়া হবে। কক্সবাজার সদরে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে হতদরিদ্র, গরীব-অসহায়, খেটে-খাওয়া এই মানুষগুলো যারা টাকা দিয়েছেন তাদের কপালে ঘর জোটেনি।

ভুক্তভোগীরা হলেন,রিনা আকতার (৩৭), স্বামী- ফরিদুল আলম, জান্নাত বেগম, স্বামী- মৃত মনি আলম,আসমা, স্বামী- জমির উদ্দিন, ইয়াছমিন আক্তার, স্বামী- মৃত আবু ছৈয়দ, পারভিন আক্তার, স্বামী- ইউনুছ,সিরাজ খাতুন, স্বামী- নুরুল আলম।
মাহমুদা, স্বামী- মোঃ আমান, আনোয়ার পিতা- নাজির হোসেন,সর্বসাং- হামজার ডেইল, খুরুশকুল, নুর বেগম, পিতা- দিল মোহাম্মদ সাং- পশ্চিম লার পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউপি, মাছুমা বেগম, পিতা- হাফেজ আহমদ,হামিদা, পিতা-শফিউল ইসলাম, মিনু বেগম, স্বামী- বশর আহমদ, জুহুরা বেগম, পিতা- শফিউল আলম, রুনা আকতার, পিতা- নুরুল ইসলাম
সর্বসাং- উত্তর মুনিয়ারছড়া, ২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, সর্বথানা কক্সবাজার সদর জেলা- কক্সবাজার।

গত ৫ অক্টোবর ২৩ ইংরেজি তারিখে এ বিষয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার জাবেদের কোর্টে ভুক্তভোগী রিনা আক্তার বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন কথিত সাংবাদিক নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ।ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে নুরুল আবছার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী রিনা আক্তার জানায়,নুরুল আবছারের সহিত আমার পূর্ব পরিচয় ছিল। সে আমার বাড়ীতে আসিয়া জানায় যে, ডিসি হইতে মুজিব বর্ষের ২২টি ঘর বরাদ্দ পাইয়াছে। খরচ বাবদ ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকা প্রদান করিলে সে শীঘ্রই আমার বাড়ী পাকা করিয়া দিবে। তার এহেন প্রস্তাব শুনিয়া আমি খুশিতে আত্মহারা হইয়া পড়ি এবং তাকে নগদ ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা প্রদান করিলে সে পরবর্তী মাসের মধ্যেই আমার ঘর পাকা করিয়া দিবে বলে জানায়।এখন প্রায় ২ বছর হলেও এখনও আমাকে ঘর দিতে পারেননি।তাই আমি নুরুল আবছারের জন্য মামলা করছি।

মামলার সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত নুরুল আবছার প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে মুজিব বর্ষের ঘর বরাদ্দ পাইয়াছে মর্মে আশ্বাস দিয়া নগদ টাকা গ্রহন করত: ঘর করিয়া না দিয়া বা টাকা ফেরত না দিয়া প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বাদীর রিনা আক্তারের কাছ থেকে ২০,০০০ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে।একই কায়দায় মামলার ২-১৪নং স্বাক্ষীগনের নিকট হইতেও জনপ্রতি ২০,০০০টাকা হারে সর্বমোট ২,৮০,০০০ টাকা আদায় করিয়াছে।

একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, পাকা ঘর দেবে এমন প্রলোভন দিয়ে সাংবাদিক নুরুল আবছার তাদের সবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সবারবকাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন প্রায় ২ বছর হলেও এখনও আমাদেরকে ঘর দিতে পারেননি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ফেরদাউস আলম জানান, এই মামলায় রিনা আক্তার বাদী হয়ে এবং ১৩ জন ভুক্তভোগীকে সাক্ষী করে নুরুল আবছারকে একমাত্র আসামী করে মামলাটি দায়ের করি,বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘক্ষন শুনানি শেষে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) কে তদন্তভার দেন এবং আগামী ধায্য তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 nctelevision.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin